হিজরী নববর্ষের অভিনন্দন? حكم التهنئة بالعام الهجري

ASHURAহিজরী নববর্ষের অভিনন্দন? حكم التهنئة بالعام الهجري
শরীয়তের দৃষ্টিতে হিজরী নববর্ষের অভিনন্দন একে অপরকে জানানো বৈধ কি না? আমাদের দ্বীনের জ্ঞানীগণের মাঝে মতানৈক্য লক্ষ করা যায়। তবে একথায় আমরা সকলে ঐক্যমত হতে পারি যে, অভিনন্দনের কোন শব্দ নবী (সা:) হতে উল্লেখ নেই। কারণ হিজরী সনের গণনা নবী (সাঃ) এর যুগে ছিল না বরং উমার (রাযি:) এর যুগে সাহাবাগণের পরামর্শে লেনদেনের তারিখ লিপিবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে হিজরী সনের প্রবর্তন হয়। (অভিনন্দন জানানো বিষয়ে উলামাদের সংক্ষিপ্ত মতামত)

১- এটা বিদআত..বিদআত..খৃষ্টানদের নববর্ষের অভিনন্দনের মতই। [ড.ফাউযান]

২- এটা বিদআত। [ইবনে বায রহ:]

৩- তোমাকে কেউ অভিনন্দন জানালে তুমি তাকেও জানাও কিন্তু নিজে এই অভিনন্দন শুরু করেবে না। [ইবনে উসাইমীন রহ:]

৪- ‘আমি নিজে এটা শুরু করি না কিন্তু কেউ আমাকে করলে আমি উত্তর দেই’ [ইমাম আহমদ] কারণ অভিবাদনের সদুত্তোর আল্লাহ দিতে বলেছেন। [নিসা:৮৬]

৫- এটা নিষেধ। [সউদী স্থায়ী উলামা পরিষদ] ফাতওয়া নং ২০৭৯৫]

This entry was posted in বান্দার হাক্ক-সামাজিক আচার-আচরণ সম্পর্কিত and tagged , , . Bookmark the permalink.

1 Responses to হিজরী নববর্ষের অভিনন্দন? حكم التهنئة بالعام الهجري

  1. আহমাদ মুসা বলেছেন:

    আশুরার সিয়াম পালনের উদ্দেশ্যঃ——————

    আশুরার সিয়াম ‘হুসাইন (رضي اللّه عنه) এর শাহাদাত উপলক্ষ্যে নয়; রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) এ দিন রোযা রাখতে বলেছেন, মুসা (عليه السّلام) এর মুক্তি ও ফেরাউনের ভরাডুবির শুকরিয়া হিসেবে।

    ইরাকের কারবালা প্রান্তরে মর্মবিদারক ঘটনাটি ঘটেছিল ৬১ হিজরির পবিত্র জুমাবারে।[আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ১১/৫৬৯] এটি ছিল উম্মতের ওপর নেমে আসা সবচে বড় বিপদগুলোর একটি। আল্লামা ইবনু তাইমিয়া (رحمة اللّه عليه) বলেন, ‘হুসাইন (رضي اللّه عنه) এর শাহাদতের ঘটনাটি মহা বিপদগুলোর একটি। কারণ, হুসাইন (رضي اللّه عنه) এবং তাঁর আগে উসমান (رضي اللّه عنه)-এর শহীদ হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়েই পরবর্তীতে উম্মতের ওপর নেমে এসেছে অনেক মহা দুর্যোগ। আর তাঁদের শহীদ করেছে আল্লাহর নিকৃষ্ট বান্দারা। [মাজমু‘ ফাতাওয়া ৩/৪১১]

    রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) এ দিন রোযা রাখতে বলেছেন, মুসা আলাইহিস সালামের মুক্তি ও ফেরাউনের ভরাডুবির শুকরিয়া হিসেবে। এ রোযার সঙ্গে হুসাইন (رضي اللّه عنه) এর শাহাদতের কোনো সম্পর্ক নেই। এ দিবস সম্পর্কে শুদ্ধ-অশুদ্ধ অনেক হাদীস বর্ণনা করা হয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এর মাহাত্ম্য রোযা পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর আশুরার ব্যাপারে এটিই মধ্যমপন্থী এবং সঠিকতম দৃষ্টিভঙ্গি। [দেখুন, লাতায়েফে মাআরেফ : ১০২-১১৩]

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান